ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-আখাউড়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরন কাজের জন্য পিডিবির পুকুর এবং সড়ক বিভাগের বোরো পিট ক্যানেলের মাধ্যমে আশুগঞ্জ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের সেচ সুবিধা ব্যাহত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবিতে গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় কৃষক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
গতকাল রোববার দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুহুল আমীন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির জেলা আহবায়ক মোঃ নাছির মিয়া, সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মোঃ নাছির যৌথ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদানকালে স্বাক্ষরদাতারা সহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলম, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা করা হয়, আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্গত কুলিং ওয়াটার দ্বারা সুদীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে আশুগঞ্জ পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে কৃষকদের সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে বিএডিসি। প্রকল্পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের চার উপজেলার প্রায ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা ভোগ করে আসছেন প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক।
জ্বালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব এ সেচ প্রকল্প থেকে প্রতি বছর ৭০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়।
কিন্তু চলতি বছর পিডিবির একটি পুকুর যেটি রিজার্ভার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেটি ভরাট করে ফেলায় এবং সড়কের চারলেনের কার্যক্রম চলায় সড়কের বোরোপিট ক্যানেল ভরাট হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর সেচ কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপামি ৭০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই কৃষক সমিতি চলতি বছর সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে প্রকল্পটি সম্প্রসারনের জন্য বোরোপিটের পাশের জায়গা অধিগ্রহনসহ মহাপরিকল্পনা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।
এদিকে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এবং অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির এক যুক্ত বিবৃতিতে ৩৫ হাজার কৃষক পরিবারের কথা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রকল্পের নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।