মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
হোমজেলাব্রাহ্মণবাড়িয়াইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার এক দশক পূর্তিতে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা...

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার এক দশক পূর্তিতে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজসাধ্য করে দিয়েছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যম

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার এক দশক পূর্তি ছিল গত বুধবার ১১ নভেম্বর। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এটুআই প্রোগ্রামের দেশব্যাপী জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে একটি বৃহৎ উদ্যোগ। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কালেক্টরেট ভবনে গঙ্গাসাগর মিলনায়তনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে কেক কাটা অনুষ্ঠান ও সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিন সারওয়ার ও অংশগ্রহণকারী ইউডিসি উদ্যোক্তাগন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন ব্যাপক সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়েছে। সেসময় কম্পিউটার জ্ঞান-সম্পন্ন উদ্যোক্তা খুঁজে পাওয়া ছিল অনেকটা কঠিন। আজকে এতদিনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো বর্তমান সরকারের পরম সদিচ্ছায় পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। এখন জনগণ পল্লীগ্রামে বাস করেও হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছেন অনেক ধরনের ডিজিটাল সেবা। এখন আর আগের মতো পল্লী এলাকার মানুষজনকে সন্তান-সন্ততির স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য দেশের বিভিন্ন শহরে দৌড়ঝাঁপ করতে হয় না। জমির পর্চা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ টেলিফোন বিলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন সেবা এখন হাতের কাছে পাওয়া যায়। চলমান করোনাকালে ডিজিটাল সেবা ও ডিজিটাল যোগাযোগ সহজসাধ্য হবার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আইসিটি সেক্টর ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজসাধ্য করে দিয়েছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যম। আর, এ সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর দূরদর্শী চিন্তাশীলতায় ও তাঁর নিরলস কল্যাণ প্রচেষ্টার কারণে। বর্তমানে অনেক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে রোজগার করছেন, যা অনেকটা অভাবনীয়।’ তিনি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাদের সেবার মান আরও উন্নত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনাদের যে কোনো সমস্যায় সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে।’ জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার দশম বর্ষপূর্তির কেক কাটেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments