হেফাজতে ইসলাম তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইসলামকে কলংকিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন হক্কানী আলেম সমাজ। সেই সাথে কতিপয় হেফাজত নেতাকে ইসলামে গর্হিত কর্মকান্ডের প্রশ্রয়দাতা কথিত আলেম নামের ধর্ম ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করে তাদের পরিত্যাগ করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান তাঁরা।
আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হক্কানী আলেম সমাজ এসব কথা বলেন। হক্কানী আলেম সমাজের পক্ষে মুফতি এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যমের সাহায্যে আমরা প্রিয় দেশবাসীকে জানাতে চাই,
হেফাজতে ইসলাম শুরু থেকে যেভাবে পবিত্র ধর্ম ইসলামের ক্ষতি ও ইসলামকে একের পর এক ক’লং’কি’ত করে আসছে, এতে মুসলিম সমাজ অত্যন্ত ব্যথিত, দু:খিত, ও হতভম্ব। কারণ, মার্চ মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ যেভাবে তারা সরকারি ও বেসরকারি মূল্যবান স্থাপনা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্মীভূত করে দিয়েছে এবং মানুষের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, তা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না।
তাঁরা বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের এক নেতা নারায়ণগঞ্জ রয়েল রিসোর্টে পর নারী নিয়ে যেভাবে আনন্দে মেতে উঠেছিল, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। বর্তমানে তিনিসহ যে সকল ধর্ম ব্যবসায়ী প্রশাসনের হাতে আটক আছেন।
বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের বলৎ;কারের চিত্র যেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্যতম অপরাধ উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয়, অতীত ইতিহাস এবং কোরআন ও হাদীসের মাধ্যমে প্রায় সকল মুসলিম অবগত যে, বলাৎ;কারের দরুণ কওম লুতকে মহান আল্লাহ ধ্বংস করেছেন, যার নিদর্শন এখনো বিরাজমান, যাকে আমরা ডেড সি হিসেবে জানি।
মুফতি ড. এ কে আব্দুল মমিন সিরাজী বলেন, কেউ কেউ এ অপরাধীদের আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন তারা ধর্মীয় নেতা কিন্তু মূলত: তারা ধর্মের লেবাসধারী। তারা কুপমন্ডকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে কলংকিত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।
ইসলাম ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ সমস্ত ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও মিথ্যুকদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’ প্রশাসন তাদের অন্যায়, মিথ্যা ও প্রতারণার বিরুদ্ধে বিচারের মুখোমুখি করতে যেভাবে অপরাধীদের গ্রে’প্তার করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই অভিযানকে আমরা সাধুবাদ জানাই উল্লেখ করে মুফতি এহসানুল হক বলেন ইসলামে গর্হিত কর্মকান্ডের প্রশ্রয়দাতা হেফাজতের কথিত আলেম নামের ধর্ম ব্যসায়ীদের পরিত্যাগ করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই। ড. কফিল উদ্দীন সরকার সালেহী, মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকীসহ মুফতি ও অন্যান্য আলেমবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।