রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল। মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ ছাত্রলীগের ৬জন নেতাকর্মীকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার এজহারে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় নূর তার ফেসবুক আইডি থেকে সরকার ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উস্কিয়ে দেওয়ার হীন মানসিকতার আক্রমনাত্মক মিথ্যা ভীতি প্রদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে। যেমনঃ স্বাধীন বাংলাদেশ সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে ‘বেহুদা কমিশন’, বাংলাদেশের বৈধ নির্বাচিত সরকারকে বারবার ‘অবৈধ অনির্বাচিত সরকার’ বলা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী’, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীদের বার বার কুলাঙ্গার বলে এবং বাংলাদেশ সরকারকে ‘বিদেশী পা চাটা তাবেদার সরকার ‘ বলে বিভিন্ন অশালীন বক্তব্য প্রকাশ করে। এছাড়া এই মামলার বাদিকে নাম উল্লেখ করে ‘ মাদকাসক্ত ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী’ অসত্য মানহানিকর বক্তব্য পেশ করে। আসামী মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে দাঙ্গাফেসাদের মাধ্যমে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদির মান সম্মান বিনষ্ট করেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী একরাম হোসেন (ডালিম) জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতের হাকিম আয়েশা বেগম মামলাটি শুনানি করবেন। আমরা শুনানির প্রতিক্ষায় রয়েছি।