তিনি মননশীল-দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেছেন, একেএম হারুনুর রশীদ মননশীল-দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টির জন্য যে অসামান্য অবদান রেখেছেন তা মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁর কবিতা-গান অত্যন্ত উঁচুমানের। তাঁর শব্দশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও অন্তর্নিহিত ভাব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু তিনি তিতাস পাড়ের মানুষের প্রেমে এ শহর ছেড়ে যান নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ধারায় সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। তিনি গত রোববার রাতে তিতাস পাড়ের আলোকিত শিক্ষক, বরেন্য কবি-গীতিকার-নাট্যকার, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একেএম হারুনুর রশীদের স্মরণসন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তাঁর প্রয়াণ দিবস ৮ নভেম্বর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে এ স্মরণসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহসভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আল মামুন সরকার। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব। শ্রদ্ধা নিবেদন করে আলোচনায় অংশ নেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, বরেন্য কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি নাট্যজন মনজুরুল আলম। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন কবি একেএম হারুনুর রশীদের কন্যা শিরিন সুলতানা কঙ্কন।
অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী পীযুষ কান্তি আচার্য, আসিফ ইকবাল খান, আবদুর রাহিম, নবনীতা রায় বর্মণ, দেবাশীষ দেবু, অবনী সরকার, সোহাগ রায়। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ও আবরনী আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্র।