মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা গোকুলনগর ক্যাম্পের ইনচার্জ,জেলার প্রবীণতম আইনজীবি এড.হামিদুর রহমান বলেছেন, এড. আলী আজম ভূঞা ও এড. লুৎফুল হাই সাচ্চু ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধানতম সংগঠক। রাজনীতিতে তারা ছিলেন সততা, সাহস আর ন্যায়পরায়নতার উজ্জল আদর্শ। এড. আলী আজম ভূঞা ও এড.লুৎফুল হাই সাচ্চু অপরিসীম ত্যাগ আর দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে চরম দু:সময়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এড. আলী আজম ভূঞা ও এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেছেন, এড. আলী আজম ভূঞা অত্যন্ত সাহস আর ন্যায়পরায়নতার সাথে দল পরিচালনা করেছেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিলো উচ্চ পর্যায়ের। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নি। এড. লুৎফুল হাই সাচ্চু ছিলেন সহজ-সরল সৎ রাজনীতিবীদ। কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে তিনি ছিলেন সমাদৃত। তিনি আরো বলেন, এড. আলী আজম ভূঞা ও এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ আজকের নেতাকর্মীদের জানতে হবে-বুঝতে হবে-অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আখতার হোসেন সাঈদ, চেম্বার সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এমএইচ মাহবুব আলম,সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হুরায়রাহ। সভার শুরুতেই এড.আলী আজম ভূঞা ও এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।