যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকেলে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ৬৯’ এর গণঅভ্যুত্থান ও মওলানা ভাসানী শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা সিপিবির সভাপতি শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, জেলা সিপিবির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ জামাল, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা উদীচীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মোস্তাকিম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী চর্চাকেন্দ্রের সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।মওলানা ভাসানী ’৬৯ এর গণআন্দোলনকে শহরের মধ্যবিত্তের গন্ডি থেকে গ্রামের কৃষক সহ সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। গণআন্দোলনের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী স্বৈরশাসক আইয়ূব খানকে বাধ্য করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তিদানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে। পরবর্তীতে গণআন্দোলনের তোড়ে আইয়ূব খানও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাইলফলক। বক্তারা আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। নতুবা জাতিই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সঠিক ইতিহাস লেখা হলে মওলানা ভাসানী অবশ্যই মূল্যায়িত হবে। বক্তারা মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই সংগ্রাম আরো বেগবান করার আহবান জানান।