ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মনির আলী নামে যুবকের বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ে করে এখন টালবাহানা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই নারীকে রেখেই আরেকজনকে বিয়ে করেছেন বলে কসবা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মনির আলী কসবা পৌর এলাকার মরাপুকুর পাড়ের হাদেম আলী ছেলে। তিনি যুবলীগ কর্মী ও ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। অভিযোগকারী নারী উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয়। ওই বছরই তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হলেও কাবিননামা করা হয়নি। এরই মধ্যে জেসমিন আক্তার জীবিকার তাগিদে ২০১৮ সালে লেবানন চলে যান। সেখান থেকে মনিরের চাহিদা মতো তিন লাখ টাকাও পাঠান। এ বছরের ২৮ মার্চ জেসমিন দেশে ফিরে এসে মনিরের কথামতো ১২ এপ্রিল তাদের বাড়িতে আসেন। পরদিন মনিরের চাচার সামনে কথা হয়, ১৫ তারিখ জেসমিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে আনা হবে। কিন্তু এরপর থেকেই মনির আর যোগাযোগ করছেন না। এমনকি গতকাল মনির আরেকটি বিয়ে করে ফেলে।
ওই নারী বলেন, ‘মনির কয়েকদিন ধরেই বলাবলি করছে আমাকে চিনে না। এর মধ্যে আবার বিয়ে করে ফেলে। এখন আমি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেয়ার পর এর সাক্ষীদেরকেও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মনির।’
তবে মনির আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে আমি চিনি না। থানা থেকে একজন আমাকে ফোন করেছে। আমি বলেছি, যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে চলি সেহেতু ওনার কাছ থেকে আমার সম্পর্কে জেনে নিতে। আমি এটাও বলেছি যে, বাজার কমিটি ও যুবলীগের নেতাকে নিয়ে থানায় আসবো।’
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর মূল বিষয়টি বুঝতে পারব। তখন প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।