কসবায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলের অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী ইয়াকুব মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। ইয়াকুব মোল্লার বাড়ি কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে। অভিযোগকারী একই গ্রামের ডেংগুসার বাড়ির ৭১’র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মজনু মিয়া।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৪ বছর যাবত মজনু মিয়া ও তার ভাই হাসেন মিয়া, হোসেন মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আবুল কালাম, ফাকুল মিয়া ও দুলাল মিয়ার সর্বমোট ১৪ শতাংশ ভিটেবাড়ির জায়গা ইয়াকুব মোল্লার দখলে। এসব বিষয় প্রতিবাদ করলে ইয়াকুব মোল্লা যুবলীগ নেতার পরচিয় দিয়ে হামলা-মামলার হুমকি দেন। পরবর্তীতে বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল খাঁ ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর ভূইয়া বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও ইয়াকুব মোল্লা রাজি হয় নি। দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশিষ্ট আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মজনু মিয়ার পরিবার নালিশা ভূমির খারিজ বাতিলসহ প্রায় ৬/৭টি মোকদ্দমা দায়ের করেছে। অপরদিকে আদালতে বিচার চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে ২/৩টি মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজনু মিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার দলিলকৃত জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিয়েছে ইয়াকুব মোল্লা। আমার জায়গার সে বাড়ি নির্মাণ করেছে। এই জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তিনি বলেন- বিষয়টি আইনের মাধ্যমে সূরাহা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীসহ ভূমিমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি ইয়াকুব মোল্লার মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল জানায়- একজন যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধার জায়গা কিভাবে অন্য একজন দখল করে রাখেন। বিষয়টি সমাধান করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজ জানান, উপজেলা যুবলীগ কমিটিতে ইয়াকুব মোল্লা নামে কেউ নেই। আমি জেনেছি, অনেক জায়গায় ইয়াকুব মোল্লা উপজেলা যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে। শিকারপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলের অভিযোগের ঘটনাটি শুনেছি। ইয়াকুব মোল্লা উপজেলা যুবলীগের নাম বিক্রি করে যদি কোন ধরণের অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত পাওয়া যায় তাহলে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবত দু’পক্ষের মধ্যে ভিটেবাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এসব ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ ও অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান আছে।