শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
হোমজেলাব্রাহ্মণবাড়িয়াফেসবুকে আল মামুন সরকারকে নিয়ে জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার আবেগঘন পোস্ট

ফেসবুকে আল মামুন সরকারকে নিয়ে জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার আবেগঘন পোস্ট

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের বাসভবন ও অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন সারা দেশের আলোচনার কেন্দ্রে। প্রিয় নেতার বাড়ি ও অফিস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়ে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার টাইম লাইনে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজকের বাংলাদেশে উত্তরণের পথে একজন ব্যক্তি হিসেবে আল মামুন সরকার যেসব অবদান রেখেছেন, সংক্ষিপ্তাকারে কিছু কিছু তুলে ধরেছেন। সেই সাথে প্রশ্ন রেখেছেন- কেন এমন হলো? পাঠকদের জন্য ফেসবুকে দেওয়া জহিরুল ইসলামের পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
‘আল মামুন সরকার, একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি ১৯৭৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকে তাকে চিনি। ১৯৭৫ সালে এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগষ্ট হত্যা করে। সম্ভবত ১৯৭৬ সলে আমি, মন্টু, আলম, লম্বা হেলাল সোহেলসহ ৭/৮ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করি। আমি স্লোগান দেই- জুলিওকুরির শেখ মজিব-লও লও লও সালাম, শান্তির দুত শেখ মুজিব-লও লও লও সালাম। সেই থেকে আমার সক্রিয় রাজনীতি শুরু। আর এরপর থেকে আল মামুন সরকারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা যা আজও অটুট। আমার বয়স এখন ৬৩ বছর। এই সময় পর্যন্ত আল মামুনের মত মত নিষ্ঠাবান, কর্মঠ মানুষ আমার চোখে পড়েনি। আল মামুন সরকার বিগত প্রায় ৩৫ বছর যাবত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন কল্পে কাজ করে যাচ্ছে। বুন্ধি প্রতিবন্ধী তাকে সামনে পেলে কিভাবে যে আবেগ প্রকাশ করে আমি দেখেছি। সন্ধ্যার পর যখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের হোস্টেলে প্রবেশ করি ছাত্ররা আল মামুন সরকারের গায়ের গন্ধ পেয়ে চিনে ফেলে। আমি অন্ধ ছাত্রদের পরীক্ষা করার জন্য অনেক সময় জিজ্ঞাসা করতাম- আল মামুন সরকার কি আছে? ওরা উত্তরে বলে- আপনার সাথে এসেছে। এই বিষয়টিও ওদের আবেগ। আমার জানামতে আল মামুন সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র (চেয়ারম্যান) থাকা সত্ত্বেও নিজে বাড়ি করতে পারেননি। মুন্সেফপাড়ার বাড়ি তার বড় ভাই হারুন এবং ছোট ভাই ইটালি প্রবাসী মিজান তৈরী করে দিয়েছে। বাড়ির ভিতরের জিনিসপত্র ভাবী তিলে তিলে সংগ্রহ করেছে। সামাজিকভাবে আল মামুন সরকারের শত্রু আছে বলে আমার জানা নাই। রাজনৈতিকভাবে বিরোধ থাকতে পারে। এই মানুষটি বাড়িতে কেন আগুন দেয়া হল? আল মামুন সরকার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অনেক কথা বলতে পারি। আল মামুন সরকারের মত ১৭টি সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সৎভাবে কাজ করতে পেরেছি। আল মামুন সরকার বিনা পারিশ্রমিকে এই প্রতিষ্ঠানের কাজ করে থাকেন।’

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments