বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩
হোমজেলাবিজয়নগরে চেয়ারম্যান-সচিব মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ 

বিজয়নগরে চেয়ারম্যান-সচিব মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  টিআর,কাবিখা,এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩ মহিলা মেম্বারের লিখিত অভিযোগ দায়ের।  গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বরাবর বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ৩ মহিলা মেম্বার প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকের খালি চেক এ স্বাক্ষর নেওয়ার পৃথক পৃথক অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নাছিমা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন আমাকে ৬ মাস পূর্বে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া টিআর-কাবিখা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। উক্ত বরাদ্দের টাকা পাওয়ার আগেই আমি নিজের টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করি। প্রকল্পের থেকে টাকা উঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম সোনালী ব্যাংকের খালি একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়।স্বাক্ষর নিয়ে  টাকা উঠিয়ে নিলেও  এখনো টাকা দেয় নাই ।চেয়ারম্যান সচিবের কথা ও সচিবে চেয়ারম্যান এর কথা বলে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি টাকার জন্য চাপ দিলে তারা আমাকে বলে যা করার করে নেওয়ার জন্য। তারা টাকা দিতে পারবে না।
৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ রাহেলা আক্তার তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,চেয়ারম্যান তাকে এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দ পাইয়ে দিবে বলে প্রথমে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়।তার পরে উক্ত প্রকল্পের ১লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি বরাদ্দ দেয়।সেই বরাদ্দ পেয়ে সে নিজের টাকায় কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সচিব খোরশেদ আলম টাকা তুলে দিবে বলে তার কাছ থেকেও সোনালী ব্যাংকের চেকে সাক্ষর নিয়ে যায়।অনেক ঘুরাঘুরি করেও প্রকল্পের  টাকা সে পাইনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।সে আরো উল্লেখ করেন প্রকল্পের টাকা চাওয়ায় তাকে হুমকী ধামকি দিয়ে এখন তাকে পরিষদের ভিতরে ঢুকতে দেয় না।
৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ ফরিদা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,আমাকে গত দুই মাস পূর্বে বর্তমান চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া টিআর-কাবিখার বরাদ্দ দেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম আমাকে টাকা উত্তোলন করে দিবে বলে সোনালী ব্যাংকের খালি ৪ টি চেকে  সাক্ষর নেয়।উক্ত চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ৯৩৯৭৮ (ত্রিরান্নবই হাজার নয়শত আটাত্তর) টাকা ও ৭১৪৩৩ (একাত্তর হাজার চারশত তেত্রিশ) টাকা পরিমান দুইটি উত্তোলন করে নিয়ে যায়।উক্ত উত্তোলনকৃত টাকা থেকে আমাকে একটা টাকাও দেয়নি।আমার প্রকল্পের টাকা চাইলে আমাকে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন আমি এমপির লোক,রাজনৈতিক নেতারা আমার পক্ষ আছে বলেন। আমি যা করার তাকে করে নিতে বলেন।
উক্ত অভিযোগের  অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর- ০৩, জেলা প্রশাসক,বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments