নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লইসকা বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নাশরা (৩) নামে আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে লাশের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই।
বিজয়নগর থেকে সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানটি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চালকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ষোলাবাড়ি এলাকার আবজল মিয়ার ছেলে ও ট্রলারের মাঝি জামির মিয়া (৩৫), তার সহযোগী কাশেম মিয়ার ছেলে মো. খোকন (২২) ও মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো রাসেল (১৮)।
এ রিপোর্ট পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় মিলেছে ১৯ জনের । নিহতরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০) ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমলের স্ত্রী অঞ্জনা ও তার মেয়ে তিতিবা (৩), চম্পকনগর ইউনিয়নের খুদাইপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে মাহিদা আক্তার (৫), পৈরতলা এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজুলি বেগম, আব্দুল হাসিমের মেয়ে কমলা বেগম, আদমপুর গ্রামের অকিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জলি বিশ্বাস (৫০), নুরপুর গ্রামের রাজ্জাকের মেয়ে মিনা বেগম, একই গ্রামের জজ মিয়ার মেয়ে ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), ফতেহপু গ্রামের জহিরুল হক ভুইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), মনিরপুর গ্রামের আরিফ বিল্লা, একই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, পত্তন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসমিয়া মীম (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের ঝাড়ু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নরসিংসার ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে আজিম সার, সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন (৮), শহরের দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাইদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), সদর উপজেলার চিলকুট গ্রামের আব্দুল্লার মেয়ে তাকওয়া (৮), ময়মসসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫)।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের বিজয়নগরে যাত্রীবাহী ট্রলারের সাথে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।