নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে চামড়ার খুচরা মৌসুমি ক্রেতারা ভালো দাম না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়েছেন। এবার তাঁদেরকে ব্যাপক লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ক্রেতারা। এ জন্য খুচরা ক্রেতাদের অদক্ষতাকে দায়ি করেছেন। নিজেরা অতিরিক্ত দামে চামড়া কেনার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।
বুধবার (২১ জুলাই) কোরবানির পর বিকেল থেকে জেলা সদরে চামড়ার বেশ কিছু অস্থায়ী বাজার বসতে থাকে। পৌর এলাকার পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গন, টিএ রোড, জেলরোড, পৌর মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় চামড়া বাজার জমে উঠে। তবে চামড়ার দর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, তারা অনেকেই পাড়া মহল্লা থেকে বড় ও মাঝারি সাইজের গরু, মহিষের চামড়া সাত থেকে আট শ টাকা দরে কিনে আনেন। তবে বাজারে আসার পর পাইকাররা চার থেকে পাঁচ শ টাকা দাম বলছেন।
অন্যদিকে পাইকাররা জানান, সরকার ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া ৪০ টাকা ফুট মূল্যেই তারা কাঁচা চামড়া কিনছেন। খুচরা কিনে আনা ব্যবসায়িরা না বুঝে পাড়া মহল্লা থেকে বেশি দাম দিয়ে চামড়া নিয়ে এসেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মৌসুমি ব্যবসায়ী আল-আমিন, সুজন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, তারা জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ গ্রাম অঞ্চল থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে গরু, মহিষের চামড়া ক্রয় করেছেন। পরিবহন ব্যয়সহ বিভিন্নভাবে তাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাজার দর একে বাড়ে কম। প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না তারা। দাম ভালো না পেলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
পাইকারি ব্যবসায়ী সানি হোসেন, বাবুল মিয়া, ওমর ফারুক জানান, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অদক্ষ। তারা লাভের আশায় বেশি দাম দিয়ে চামড়া কিনে আনেন। তারা অতিরিক্ত লাভের চিন্তা করে এখন বেশি দাম হাকাচ্ছেন।