- নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদোন্নতি পেয়ে বদলী হওয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বডুয়ার বিদায়ী মতবিনিময় সভা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে। শনিবার রাত আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এই সভা হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। সভায় অন্যতম অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা ও মো. আরজু। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আশিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, আজকের পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ইউএনও পঙ্কজ বডুয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু ও পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ এম সিরাজ। শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমদ অপু ও সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান। ইউএনও পঙ্কজ বডুয়ার হাতে প্রেসক্লাবের প্রকাশনা ‘প্রবাহ’ তুলে দেন পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ এম সিরাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের অনেক ইউএনও এসেছেন। কিন্তু ইউএনও পঙ্কজ বডুয়া অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রথমবারের মতো কোনো ইউএনও’র বিদায়ী মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। আর সেটি তার কর্মগুনের কারনেই হয়েছে। তিনি একজন মানবিক, করোনার সম্মুখযোদ্ধা ও কাজপাগল মানুষ। দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। যেখানেই যাবেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন।
ইউএনও পঙ্কজ বডুয়া বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার জন্য আপন জায়গা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের হৃদয়ের উষ্ণতা ভুলে যাওয়ার মতো নই। জেলার সাংবাদিকসহ সকলের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কাজ করার। আমি একটা নীতিতে বিশ্বাস করি। আর তা হলো মানুষকে সম্মান করা। চেষ্টা করেছি মানুষকে সম্মান করতে।