- নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের কথিত সোর্স ও নির্মাণ শ্রমিক থেকে কতিপয় সাংবাদিক নাম ধারণ করা রেজাউলের বিরুদ্ধে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে দেখছে। তবে এখনও আদালতে প্রতিবেদন পাঠায়নি।
জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চলতি বছরের ১৮ জুলাই ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন শ্লীলতাহানির শিকার ঐ তরুনী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় পুলিশের সোর্স রেজাউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘরের নোয়াপাড়া গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার স্কুল পড়ুয়া কন্যা কিশোরী সানজিদা আক্তার সায়মা। মামলায় বাদীনি অভিযোগ করেন বলেন পুলিশের সোর্স রেজাউল বাদীনির পিতাকে মৎস্যজীবী জেলে হিসেবে সরকারি কার্ড এবং বাদীনির মাকে সরকারিভাবে সেলাই মেশিন পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে রেজাউলের খবরের ভিত্তিতে ঘটনার তারিখ ও সময়ে মৎস্যজীবী কার্ড ও সেলাই মেশিন নেয়ার জন্য বাদীনি রেজাউলের বাসায় আসলে বাদীনিকে একা পেয়ে রেজাউল তাকে যৌন হয়রানি করেন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বলেন- রেজাউল কি থেকে কি হয়ে গেল, সেটা আমাদেরও বুঝতে অনেক সময় লেগেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষকে হয়রানী, প্রতারণা ও সোর্স হয়ে নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে জেলা শহরের সাংবাদিকদের কাছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান আমি মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। অপরাধী যে হউক না কেন, তদন্তে যা আসবে তা আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।