বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সংবাদপত্র পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভয়াবহতা নিরূপন করা সম্ভব নয়। খুবই ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। তা ৭১’কেও হার মানিয়েছে। হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সাথে পেশাদার লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ছিলো। তিনি গতকাল রোববার বিকেলে বামগনতান্ত্রিক জোটের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে হেফাজতের তান্ডবের সময় ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেস বিফ্রিংয়য়ে একথা বলেন। এই ধ্বংসযজ্ঞের দায়দায়িত্ব হরতাল আহবানকারী হেফাজতে ইসলামকেই নিতে হবে। ভাংচুরের সাথে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের লোকজনও জড়িত ছিলো। হেফাজতের হরতালের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃংখলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন চুড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার বিগ্রেডের কাউকে পাওয়া যায় নি। ফায়ার সার্ভিস যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতেন তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি কিছুটা কম হতো। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রেসক্লাবে হামলা একটি বর্বরোচিত ঘটনা। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, গনসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জেলা সিপিবির সভাপতি শাহরিয়ার মোহাম্মদ ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম প্রমুখ।