‘এবারের ভোট হয়েছে সম্পূর্ণ মেরুকরণের ভিত্তিতে। ভোটের ফল মোর্চা তথা সি পি আই এমের পক্ষে ভালো হবে না।ভোটের ফল বের হওয়ার দুদিন আগে এমনই কথা বলছিলেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা তথা রায়দিঘির পরাজিত প্রার্থী কান্তি গাঙ্গুলি। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মূল্যবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।কোনো রকম রাখঢাক না রেখে কান্তি বাবু জানিয়ে দেন ‘মানুষ এখন ভিখারি হতে ভালোবাসে।মানুষ ভিক্ষা পেতে পছন্দ করেন ।
ভোটের ফল নয়, কান্তি গাঙ্গুলির এখন একমাত্র ধ্যানজ্ঞান করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ভোটের ফল কি হতে চলেছে সে বিষয়ে আগাম অনেক কথাই বলেছিলেন।মানুষ নিশব্দে লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে মানেই তা সরকার বিরোধী নয়।তিনি সোজাসুজি জানিয়ে দেন মানুষ ভোট দিয়েছে মেরুকরণের শিকার হয়ে।বাংলার মানুষের চেতনা নিয়েও মনে প্রশ্ন রয়েছে এই প্রবীণ বাম নেতার।সে কারণেই তিনি বলতে পারে যে মানুষের মূল্যবোধ এখন নিম্নমুখী।তৃণমূল,বিজেপি গত দশ বছরে মানুষের মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে।মানুষকে ভিখিরি বানাতে পারলে এই দুটো দল খুশি হয় জানিয়েছেন কান্তি বাবু।যে মানুষ তার জীবন,কাজের সঙ্গে প্রতিদিন যুক্ত তাদের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি তিনি।বলেছেন,’দুটো দল মানুষের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে।তাতেও মানুষ বেহুঁশ।নীতি,নৈতিকতা বিসর্জন পর্ব চলেছে।মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছে মানুষ।টাকা,পয়সার কাছে সহজে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির গাড্ডায় ফেলে দেওয়া হয়েছে মানুষকে।দুটো দল মিলে দুর্নীতিকে সামাজিক রূপ দিয়েছে। লোভী বানানো হয়েছে।কাজ না করে টাকাপয়সা নিতে অভ্যস্ত করা হয়েছে।ঘরে বসে টাকা পেয়ে মানুষ খুশি হচ্ছে।ভিখারী হতে ভালোবাসছে মানুষ।ভিক্ষা নিতে আগ্রহী আমরা’।নৈতিকতা ফেরানো কঠিন কাজ একথা উল্লেখ করে কান্তি গাঙ্গুলি জানান,কঠিন হলেও সে কাজ বন্ধ করলে চলবে না।এবারের ভোটকে ‘মদ – মাংসের ভোট ‘বলে চিহ্নিত করে মানুষ-দরদী বাম নেতা বলেছিলেন,’মেরুকরণ ছিনিয়ে নিয়ে যাবে মানুষের রায়কে ‘।বাস্তবে ঘটলও তাই।মানুষের মন বোঝা কমিউনিস্ট পার্টির প্রাথমিক কাজ, সেদিকেই কি ইঙ্গিত করলেন কান্তি বাবু।