কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি প্রতিকেজি চ্যাপা শুটটি ১২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিবছর প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার শুটকি বেচাকেনা হয় লালপুরের শুটকি পল্লীতে।
শুটকি ব্যবসায়ী অখিল চন্দ্র দাস বলেন, করোনার কারণে অবিক্রিত রয়েছে আমার ৮-১০ লাখ টাকার শুটকি। শুটকিগুলো ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে। শুটকি বিক্রি করতে পারলে হাতে টাকা পেতাম কিন্তু মোকামে পাইকারই আসে না। এখন হাতে টাকা নেই, নতুন মাছও কিনতে পারছি না। আমাদের এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
আরেক শুটকি ব্যবসায়ী উৎপল চন্দ্র দাস জানান, করোনার কারণে ১৪ হাজার কেজি শুটকি অবিক্রিত রয়ে গেছে আমার। যাহার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। প্রয়োজনীয় সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় শুটকিগুলো নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত শুটকি ব্যবসায়ীরা স্বল্প সুদে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মৎস্য অধিদফতরের আলোচনা চলছে।