গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি সম্পাদক চৌধুরী আফজাল হোসেন নেসারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর তার কয়েকজন স্বজনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান। শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় চৌধুরী আফজাল হোসেন নেসার এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মাস্টার। স্বাগত ভাষণ দেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমএইচ মাহবুব আলম,জেলা শিল্পকলা একাডেমী সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব,জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম,পাবলিক লাইব্রেরীর যুগ্ম-সম্পাদক মোমিনুল আলম বাবু,সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ,নেসার চৌধুরীর জামাতা ইসলামি ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক কাজি মো.জাবেদ হোসেন,বড় ছেলে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক তানভীর চৌধুরী,ছাত্রলীগ নেতা সুজন দত্ত,সাইদুল ইসলাম,মাও.বাছির,যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন। দোয়া পরিচালনা করেন পুরাতন কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম মাও.আবদুল্লাহ।
স্মরণ অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাগণ মানব হিতৈষী নেসার চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগের ঘোষনা দেন। এসময় জাবেদ রহিম বিজন,দীপক চৌধুরী বাপ্পী,উসমান গনি সজিব ও মো.মনির হোসেনকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা পরিষদও ঘোষনা দেন। সভায় জানানো এবছরের মধ্যেই স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।
স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন,নেসার চৌধুরী ছিলেন একজন পরোপকারী-মানবহিতৈষী। সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে একজন সজ্জন ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছিলেন। গতবছর করোনাকালে তিনি জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের দিনের পর দির খাবার সরবরাহ করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে আমৃত্যু দলের প্রতি অনুগত ও নিবেদিত ছিলেন। সমবায় আন্দোলনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন আলোকবর্তিকা। সমবায় আন্দোলনের কারণে সারাদেশেই তার ব্যাপক পরিচিতি গড়ে উঠে।