মাথা ব্যথার চিকিৎসা করাতে রোববার সন্ধ্যায় শহরে যাওয়ার পথে শান্তাকে একা পান হুমায়ূন মিয়া ও তার মুখোশধারী সহযোগীরা। এ সময় তাকে বেঁধে মারধরের পর ব্লেড দিয়ে পোচানো হয় শরীরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর উপজেলায় শান্তা আক্তার নামের এক গৃহবধূ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে তার আপন চাচার নেতৃত্বে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শান্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। ২৫ বছরের শান্তা আক্তার শিলাউর গ্রামের রাজমিস্ত্রি স্বামী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
শান্তা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তার চাচা হুমায়ূন মিয়া কয়েক দিন ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মাথা ব্যথার চিকিৎসা করাতে শান্তা রোববার সন্ধ্যায় শহরে যাওয়ার পথে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে তকে মারধর করেন হুমায়ূন মিয়া ও তার মুখোশধারী সহযোগীরা। পরে তার শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্লেড দিয়ে পোচ দেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে শান্তার ছেলের সঙ্গে তার চাচাত ভাইয়ের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় শান্তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তার চাচা হুমায়ূন মিয়া। রোববার সন্ধ্যায় চিৎকার শুনে আহত শান্তাকে উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালে শান্তার মা রোশনা আক্তার বলেন, রোববার সন্ধ্যায় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে শান্তা ডাক্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার সময় হুমায়ূন মিয়া তার কয়েকজন মুখোশপড়া সহযোগী নিয়ে শান্তার হা-পা বেঁধে এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে পুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্তা আক্তার বলেন, হুমায়ূন মিয়া তাকে গত কয়েকদিন ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। রোববার রাতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধোর শেষে ব্লেড দিয়ে পুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, গৃহবধূকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’