রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওইদিন রাতেই রাজধানীর গুলশান থানায় নিহত মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দায়ে সায়েম সোবহান আনভীরে বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে গুলশান জোনের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। আনভীর এক বছর মেয়েটিকে এই ফ্লাটে রাখেন। পরে আনভীরের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে তিনি কুমিল্লায় চলে যান। তবে মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্লাটে থাকা শুরু করেন।’
মুুুুনিয়ার বড় বোনের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মুুুুনিয়া়া রোববার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি সমস্যায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা না খুলায় বাইরে থেকে লক খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে পুলিশ।