নয়া গণতান্ত্রীক গণমোর্চার পক্ষ থেকে মালিক শ্রেণী ও রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার কারণে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে ৫২ জন শ্রমিক নিহতের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষী মালিককে দৃষ্টান্তমূক শাস্তি দাবি করেন এক বিবৃতিতে
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় আগুনে এ পর্যন্ত ৫২ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এতে শিশু থেকে শুরু করে অনেক নারীরাও রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সেই আগুন থামেনি। গেটে তালা থাকার ফলে শ্রমিকেরা বাইরে বের হতে পারেনি। জীবন বাঁচানোর জন্য অনেক শ্রমিক কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তাদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে, অনেক শ্রমিক কারখানার ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
আমরা নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা এই মৃত্যুকে শুধু মৃত্যু বলে বিবেচনা করি না, এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।
মালিক শ্রেণীর অতি মুনাফা লাভের আশা ও রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার মধ্যে গড়ে ওঠা এরকম হাজার হাজার কারখানা এক একেকটা মৃত্যুকূপ,এগুলো শ্রমিক মৃত্যুর জন্য দায়ী। রানা প্লাজা থেকে শুরু করে তাজরীন, স্পেকট্রাম ও এখন এই সেজান জুস বা সজীব গ্রুপের কারখানা কোনটিই আলাদা কিছু নয়। এই শ্রমিকবিরোধী ব্যবস্থা না পাল্টালে এরকম হাজার মৃত্যুর স্বাক্ষী হতে হবে বারবার। তাই আমাদের এই ব্যবস্থা পাল্টানোর সংগ্রামে সামিল হতে হবে সকলকে। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা আগামী লড়াইয়ে শ্রমিকদের যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়।
দাবি সমুহ-
নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এক জীবনের মজুরির সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আহতদের সমস্ত দায়িত্ব মালিক ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে ।
দোষী মালিকের দৃষ্টান্তমূক শাস্তি দিতে হবে।
অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।
খবর বিজ্ঞপ্ত