আজ ১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে মহান মে দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের দিন- মহান মে দিবস সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগেও পালিত হয়েছে। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে মহান মে দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি আবু সাইদ খান। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. কাজী মাসুদ আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সহ-সভাপতি শামসুল আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ পাটোয়ারী, সংগঠনের নেতা মোঃ জাবেদ আলম, শফিকুল ইসলাম, কামাল মিয়া, আব্দুল মালেক, শ্যামল দাস, নারায়ণ দাস, সাদেক মিয়া, আবুল খায়ের, মোঃ শাহেদ মিয়া, আব্দুস সাত্তার মন্টু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আগামী ঈদের আগেই সারা দেশের সকল শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবী জানান। বক্তারা শ্রমিকদের সাথে মানবিক আচরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন- এবারের প্রতিপাদ্য ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ মুজিববর্ষে গড়বো দেশ’। মালিক যদি শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন অপূর্ণ থেকে যাবে। বক্তারা বাঁশখালিতে সংঘর্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে তান্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন- ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ইসলামের কর্মসূচিতে ধারাবাহিক তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য হেফাজত ইসলামই দায়ী। এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমরা মনে করি। সভায় বক্তারা বলেন- আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। প্রকৃত দোষীরা যদি কাঠগড়ায় না দাঁড়ায় তাহলে আমরা ভবিষ্যতে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল শ্রেণির শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।