বিশেষ প্রতিনিধি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মো. সায়েদুর রহমান স্বপন।
আওয়ামী লীগ নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতে ভাই।
মন্ত্রী-এম.পি’র স্বজনদেরকে ভোট থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা সম্পর্কে শুক্রবার সন্ধ্যায় সায়েদুল হক বলেন, ‘এমন তো নয় যে আমি মন্ত্রীর আত্মীয় হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছি। কিংবা দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ৩০ বছর ধরে কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল থেকে বলা হয়েছে মন্ত্রী-এম.পি’রা যেন ভোটে কোনো ধরণের প্রভাব বিস্তার না করেন। এক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রী তো কাউকে কিছু বলছেন না। ওনি আমাকে বলে দিয়েছেন সুষ্ঠু ভোট হবে। সে কারণে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি ভোটে লড়বো এটা নিশ্চিত। আর সবচেয়ে বড় কথা এটা তো আর দলীয় কোনো নির্বাচন নয়।’
তবে সায়েদুর রহমানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, আইনমন্ত্রীর সাবেক এপিএস অ্যাডভোকেট রাশেদুর কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করেন, সায়েদুর রহমান সব জায়গায় বলছেন মন্ত্রী ওনার আত্মীয়। এ বিষয়ে তিনি মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ভোটে জয়ের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।