শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
হোমজেলাব্রাহ্মণবাড়িয়াকরোনা থেকে মুক্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাযজ্ঞ

করোনা থেকে মুক্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাযজ্ঞ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় অবস্থিত প্রায় তিনশ’ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে চার দিনব্যাপী সপ্তশতী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন হওয়া মহাযজ্ঞে করোনা থেকে মুক্তিতে প্রার্থনা করা হয়।
এদিকে, চার দিনব্যাপী যজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশেপাশে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলাসহ নানা ধরনের খেলনা সামগ্রী, মাটির সামগ্রী, হরেক রকমের পণ্যের পসরা ও খাবার নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে চারদিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসবের উদ্বোধন করেন মন্দির কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য। দুপুর ১২টায় জীব জগতের কল্যাণ কামনায় সপ্তশতী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। যজ্ঞ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতাসহ পূজার বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে অংশ নেন।
যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা জানান, প্রায় তিনশ’ বছর পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকা ফুলবাড়িয়ার দূর্গাচরণ আচার্য্য স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর তীরে শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে জীব জগতের কল্যাণ কামনায় প্রতিবছর এ যজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।
যজ্ঞ অনুষ্ঠানের প্রধান পুরোহিত মধুসূদন চক্রবর্তী জানান, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতা কাটানোর জন্য আজকে পঞ্চমুন্ডা মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে। জীব জগতের কল্যাণ কামনায় যজ্ঞের মাধ্যমে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
মন্দিরে আসা ভক্ত খেলা তমা বনিক জানান, চন্ডী মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন তিনি সকলের মঙ্গল করেন। আমাদের সবাইকে ভালো রাখেন। আরেক ভক্ত টিটু শীল জানান, চন্ডী মায়ের কাছে প্রার্থনা তিনি আমাদের পরিবার পরিজন, আত্বীয় স্বজনসহ সকলকে যেন ভালো রাখেন। মন্দিরে আসা ভক্ত অ্যাডভোকেট প্রণব কুমার দাস উত্তম জানান, আমি প্রতি বছরই তারা পরিবার নিয়ে এখানে আসেন।
কালভৈরব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শ্রী নারায়ণ চক্রবর্তী জানান, চন্ডি শব্দ এসেছে চন্ড শব্দ থেকে। চন্ড মানে উগ্র। এই চন্ডকে স্ত্রীলিঙ্গ করে চন্ডি করা হয়েছে। উগ্র চন্ড সব সময় রাগান্বিত থাকেন। তাকে তুষ্ট করার জন্যেই মূলত প্রার্থনার আয়োজন।

মন্দির কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, করুণা থেকে মুক্তি পেতে পঞ্চমুন্ডি মায়ের কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে। এবারে যজ্ঞ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টিও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে বিদেশি ভক্তদের সমাগম নেই।

বেলা দেড়টা  দিকে যজ্ঞ উৎসব ও মহোৎসব পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস। শুভেচ্ছা বক্তব্যে পঙ্কজ বড়ুয়া মহামারি করোনা থেকে মুক্তির কথা জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments